সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জনগণ যাকে ভালবাসবে, দায়িত্ব দিতে চাইবে, তাকেই দেবে- জেলা প্রশাসক বাহুবলে বিয়ের আনন্দ-ফুর্তি চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবতীর মুত্যু বাহুবল উপজেলা নির্বাচন : ২০ প্রার্থীর মাঝে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ বাহুবল উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাহুবল হাসপাতালের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা বাহুবলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাছাইয়ে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল শিশুদের বিবাদের জেরে আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩৫ দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

আমার ভ্রমণসমগ্র পর্ব- ১ : ভারতের কলকাতা

নজির হোসেন হাসু :- কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করার আকাঙ্ক্ষা সেই ছোট বেলা থেকেই । কোন মহান মানুষটির দ্বারা যে কখন অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম তা এখন আর মনে করতে পারছিনা। এলাকায় এমন মানুষ খুব কম ছিলেন। সম্ভবত ভারতীয় কোন ফিল্ম দেখে বিশেষকরে লাম্বুজী খ্যাঁত অমিতাব দা’র কোন একটা ফিল্ম দেখে।

যাহোক, ভাবছিলাম কোথা থেকে শুরু করা যায়? বাংলাাদেশের প্রায় সব কটি জেলা দেখা হয়েছিল সেই অনেক আগেই। দূতাবাসে চাকুরী করার সুবাদে একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার ছিলো যে, পৃথিবীর কোথাও কোন দূতাবাসে ভ্রমন ভিসার আবেদন করলে সাক্ষাতকারের সময় ভিসা অফিসার যে প্রশ্নটি করেন তা হলো “আপনি কি ভারত ভ্রমন করেছন? কারন কনসোলার সাহেবদের প্রশ্ন সারা পৃথিবীর মানুষ ভারত ভ্রমন করেন আর আপনি ভারত ভ্রমন না করেই আসছেন ভিসা নিতে? তাই আমিও ভাবলাম প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকেই শুরু হোক আমার যাত্রা। তাই আমি ভারত থেকেই আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম।যার জন্য হয়তো পরবর্তীতে বিশ্বের অনেক গুলি দেশ দেখা সম্ভব হয়েছে। আশা ছিলো এশিয়ার সবকটি দেশ ২০২০/২০২২ এর ভেতরে শেয করবো। But sorry to say that corona has stopped me to do so. যেহেতু আমি আমার কর্মস্থল কাতারেই বার বার ফিরে যাই। তাই কাতারস্থ ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসিতে ভিসার আবেদন করি এবং তিন দিনের মাথায় ভিসা পেয়ে যাই। ভিসা নিয়ে বাংলাাদেশে চলে আসি। সেটা ছিলো ২০১৫ সালে। আগষ্ট মাসের কোন এক সকালে কলকাতার উদ্দেশ্য বাড়ী থেকে ঢাকার কমলাপুরে। সেখান থেকে এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫০০ ইউ এস ডলার পাসপোর্টে এন্ডোজমেন্ট করেছিলাম। তার পর সকাল ৮:৩০ মিনিটে সৌহার্দ্য পরিবহনের একটি এসি বাসে করে বেনাপোল দিয়ে একে বারে সোজা ভারতে। বেনাপোল চেকপোস্টে ৫০০ টাকা ভ্রমন টেক্স প্রদান করলাম তারপর Immigration শেষ করে আবার বাসে তারপর রাত ৮ টায় বাসের ক্ষেত্রে শ্যামলী, বিআরটিসি, সৌহার্দ্য দিনের বেলায় সরাসরি ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়। আবার রাতের সময়, বেনাপোল পর্যন্ত এক বাস হয়ে বর্ডার পার হয়ে আরেক বাসে পেট্রাপোল থেকে কলকাতা যাওয়া যায়। নন এসি বাসের ভাড়া ৭০০-৮০০ আর এসি বাসের ভাড়া ১৫০০ টাকা।

ট্রেনে কলকাতা যাওয়ার উপায় : বাংলাদেশ-ভারত সরকারের যৌথ উদ্দোগে মৈত্রী এক্সপ্রেস সকাল ৮.১০ মিনিটে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ট্রেন ছাড়ার আগে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে ও ওদিকে কলকাতার চিতপুরে পাসপোর্ট ভিসা চেক করে নেওয়া হয়। মোট যাত্রা সময ৮থেকে ১২ ঘণ্টা।

বাংলাদেশিরা কলকাতায় এলে মূলত থাকেন দু’টো জায়গায়। মারকুইস স্ট্রীট অথবা ধর্মতলা নিউ মার্কেট এলাকায়। আমাকে যেহেতু উত্তর কলকাতাই মূলত ঘুরবার শখ, তাই থাকার জন্য নিউ মার্কেট এলাকাকেই বেছে নিয়েছিলাম। ওখানকার এসপ্ল্যানেড মেট্রোস্টেশন থেকে সহজে নানা জায়গায় যেতে পারবো, এটাও মাথায় ছিলো। যা-ই হোক, রাতপ্রতি ৯০০ টাকা ভাড়ায় উঠলাম মির্জা গালিব স্ট্রীটের সেন্টারপয়েন্ট গেস্টহাউজের একটা ডাবল-বেডের রুমে। শক্ত একটা ঘুম দিলাম। রাতেই কল দিলাম বন্ধু হরে কৃষ্ণকে সে কলকাতার বাসিন্দা। আমাকে বল্লো জয়দেবপুর থানার গেইটে যেতে।

ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে দশটা। নিউ মার্কেট এলাকা ছেড়ে পা বাড়িয়েছি জয়দেবপুরের দিকে। ওদিকেই প্রাতঃরাশ সারলাম। বিশ-ত্রিশ রুপিতেই বেশ ভালো মতন পেট ভরে যায়। হাতে সময় থাকলে বা রিক্সা/গাড়িতে চড়লে ডেকার্স লেনের ওদিকটায় গিয়েও প্রাতঃরাশ সারতে পারতাম। বেশ নামদার জায়গা। যাক Taxi নিলাম ২ ঘন্টায় পৌছে গেলাম জয়দেবপুর। যেয়ে দেখি বন্ধুটি অপেক্ষা করছে। দেখা সাক্ষাতের পর তাকে বললাম হোটেল ম্যনেজ করতে সে কিছুতেই রাজি হলোনা নিয়ে গেলো সোজা তার বাড়ীতে। কাকি মা আমাকে দেখেতো মহা খুশি বাংলাাদেশ থেকে এসেছি বলে কত কথা কত গল্প শোনালেন আমাকে। আমিও ৮ দিন বন্ধুটির বাসায় থাকলাম। এবং তার সাথে যে জায়গাগুলি দেখেছি তা আপনাদের জন্য তুলে ধরলাম।

কলকাতার দর্শনীয় স্থান:
কলকাতা বাসীদের কাছে “শহরের রানী” নামে খ্যাত কাছে এই শহর আর সকলের কাছে পরিচিত “আনন্দ নগর” হিসেবে। কি নেই এই শহরে! চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভ্রমন পিপাসুদের দেখার নানা উপকরণ। কখনো বাসে কখনো পায়ে হেঁটে বা কখনো মেট্রো রেলে চড়ে ঘুরে দেখেছি শহরের নানা দর্শনীয় স্থান।

কলকাতার জাদুঘর :
ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম : এশিয়াটিক সোসাইটি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দ্যা ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম হল এশিয়ার মধ্যে অন্যতম ও তাৎপর্যময় এক প্রাচীন জাদুঘর। মিশরীয় মমি, ডাইনোসর বা জীবাশ্ম কঙ্কালের যদি প্রত্যক্ষ দর্শন করতে চান তাহলে ঘুরে আসতে হবে কলকাতার এই ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম থেকে।
বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিইয়্যাম : দক্ষিন কলকাতার ১৯ এ গুরুসদয় রোডে বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিয়াম অবস্থিত। বিজ্ঞানের অজানা জানা ও বোঝার জন্য ছোট থেকে বড় সকলের ভালো লাগবে এই মিউজিয়াম।

রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়াম :
গিরিশ পার্কের কাছে চিত্তরঞ্জন এভিন্যিউ এ অবস্থিত বিখ্যাত রবীন্দ্র ভারতী মিউজিয়্যাম “ জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ি” নামেও পরিচিত যা মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি। কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী মিউজিইয়্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আবিচ্ছেদ্য অংশ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সকল কাজকর্মের এক সংরক্ষণাগার,যা যেকারো ভালো লাগবে।

মাদার ওয়াক্স মিউজিয়াম :
কলকাতার নিউ টাউনে অবস্থিত ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদাম তুসো জাদুঘরের আদলে নির্মিত ভারতের প্রথম মোম শিল্পকর্মের জাদুঘর। এখানে ৫০টির ও বেশি খ্যাতনামা ব্যাক্তিদের মোমের মূর্তি আছে এই জাদুঘরে।

নেহেরু চিলড্রেন্স জাদুঘর :
শিশুদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি জায়গা হল নেহেরু চিলড্রেন্স জাদুঘর। রয়েছে নানা ধরনের গ্যালারি যেখানে আছে পুতুলের গ্যালারি, খেলনার গ্যালারি, রামায়ন ও মহাভারত গ্যালারি। মূলত শিশুদের বিনোদনের সাথে সাথে শেখার নানা উপকরনের দেখা মিলবে এই জাদুঘরে।

আশুতোষ মিউজিয়াম :
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারতের শীর্ষস্থানীয় জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম যেখানে ভারতের শিল্প কলা ও পুরাতত্ত্বের নানা কিছু সংরক্ষিত আছে।

কলকাতার ঐতিহাসিক কিছু স্থান:
কলকাতা মার্বেল প্যালেস : বাংলার শৌখিন জমিদার রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক বাহাদূর ১৮৩৫ সালে নির্মাণ করেছিলেন প্রাসাদের মত বিরাট এক অট্টালিকা যা দেখলে পর্যটকদের নিঃসন্দেহে ভালো লাগবে।

ভিক্টোরিয়া মেমরিয়াল :
রানী ভিক্টোরিয়ার স্মরণে তাজমহলের ধাঁচে গড়ে তোলা সাদা মার্বেলের এক অনন্য ইমারত যার কারুকার্য যে কোনো পর্যটকদের চিন্তা শক্তি কে আবার নতুন ভাবে জাগ্রত করবে।

হাওড়া ব্রিজ : “
রবীন্দ্র সেতু” নামে পরিচিত কলকাতা বাসীদের কাছে প্রসিদ্ধ চমৎকার শৈল্পিক কারুকার্যময় একটি ব্রিজ। হুগলি নদীর উপর অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুগুলির মধ্যে অন্যতম।

প্রিন্সেস ঘাট :
১৮৮১ সালে জেমস প্রিন্সেপ এর স্মরণে হুগলী নদীর তীরে নির্মিত এই ঘাট যা ভ্রমণকারীদের কাছে জনপ্রিয়। কলকাতার সবচেয়ে পুরনো দর্শনীয় স্থানগুলির এটি একটি।

ফোর্ট উইলিয়াম :
কলকাতা শহরের হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত ফোর্ট উইলিয়াম একটি দুর্গ। প্রাচ্যে ব্রিটিশরাজের সামরিক শক্তির সবচেয়ে বড় নিদর্শন এই বিশাল অট্টালিকা কলকাতার একটি আকর্ষণীয় জায়গা।

রবীন্দ্র সদন :
বাংলা থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের এক অনন্য মিলনমেলা হল রবীন্দ্র সদন। বাঙ্গালি সমাজের এক প্রধান বিনোদনের উৎস এই রবীন্দ্র সদন যেখানে নাটক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নানা ধরনের বিনোদনমূলক প্রদর্শনী দেখতে পারা যায়।

কলকাতা রেসকোর্স :
১৮২০ সালে নির্মিত ভারতের সবচেয়ে বড় রেসকোর্স যা বিখ্যাত ঘোড়াদৌড়ের ক্ষেত্র। এখানে ভারতের সবচেয়ে গৌরবমণ্ডিত ঘোড়া দৌড় যেমন ক্যালকাটা ডার্বি ও রানী এলিজাবেথ কাপ নিয়মিত আয়োজিত হয়।

কলকাতার নানা পার্ক:
নিকো পার্ক বিশ্বের সর্বসেরা চিত্তবিনোদনমূলক পার্ক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
সায়্যন্স সিটি পার্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা বিষয় জানতে দু মারতে পারেন এই সায়্যন্স সিটি থেকে যা ভালো লাগবে নিঃসন্দেহে।
নলবল বোটিং কমপ্লেক্স সবচেয়ে সুন্দর পিকনিকের জায়গা তবে নানা ধরনের নৌকায় চরে ভ্রমনের আনন্দ অনুভব করারও সুযোগ আছে।
ক্লাউন টাউন শিশুদের পছন্দ মাথায় রেখে তৈরি করা শিশুদের ভালো লাগার মত একটি বিনোদন কেন্দ্র। এটি কলকাতার সর্বপ্রথম শিশু উদ্যান।
অ্যাকোয়াটিকা রাজারহাটের কোচপুকুরে অবস্থিত একটি জলজ উদ্যান বা ওয়াটার পার্ক নামে পরিচিত।
ফান সিটি দুর্দান্ত সব রাইডের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এই অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ভালো লাগবে যেকারো।
কলকাতায় বাগান ও পশু পাখির সমাহার।

বোটানিক্যাল গার্ডেন : শিবপুরে হুগলী নদীর তীরে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্দ্যোগে গড়ে উঠেছে এক নয়নাভিরাম পুস্প শোভিত বোটানিক্যাল গার্ডেন।

জুওলোজিক্যাল গার্ডেন :
বিশাল প্রানি ভাণ্ডার নিয়ে গড়ে উঠা কলকাতার জুওলোজিক্যাল গার্ডেন যা এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম। বিশাল এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রানিদের সমারোহ দেখতে ভালো লাগবে যেকারো।

আলিপুর চিড়িয়াখানা :
আলিপুরে গড়ে উঠা এই চিড়িয়াখানায় আছে নানা ধরনের পশু পাখির অবস্থান।

এগ্রি- হর্টিকালচ্যার গার্ডেন :
এটি মূলত উদ্দ্যান পালন সংক্রান্ত বাগান। এখানে
ইডেন গার্ডেন : ক্রিকেট দুনিয়ার এক বিখ্যাত স্টেডিয়াম। আরো আছেএকটি বার্মিস প্যাগোডা । পুরো ইডেন গার্ডেন ঘুরে দেখতে পছন্দ করবে সবাই।

কলেজ স্ট্রিট :
বইপড়ুয়াদের জন্য একটি তীর্থস্থান। পাঠ্যবই থেকে শুরু করে বেষ্ট সেলার ও যাবতীয় নতুন পুরাতন বইয়ের দেখা মিলবে এখানে।

ন্যাশনাল লাইব্রেরি : শুধু কলকাতা না পুরো ভারত (India) বর্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রন্থাগার হল এই ন্যাশনাল লাইব্রেরি।

বেলুর মঠ : হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত এই বেলুর মঠে রয়েছে স্বামী বিবেকান্দের বাড়ি ও নানা সাধকের সমাধি। এছাড়াও একটি প্রদর্শন শালা আছে যেখানে কিভাবে রামকৃষ্ণ মিশন তৈরি হয়ে সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে তা দেখা যায়।

হংসেশ্বরী মন্দির : কলকাতা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক তীর্থস্থান। হংসেশ্বরী মন্দির রাজকীয় আবহে গড়ে উঠা এক অপূর্ব সুন্দর মন্দির। এটি কলকাতা শহরের সবচেয়ে কাছের ও জনপ্রিয়।

কোথায় থাকবেন
কলকাতায় থাকার জন্যে রয়েছে অনেক হোটেল ও গেস্ট হাউজ। নিউমার্কেট এ পাবেন। সাধারণত মোটামুটি মানের নন এসি রুমের ভাড়া ৮০০-১২০০ টাকার মধ্যে এবং এসি হোটেলের ভাড়া ১৪০০ রুপির উপরে। তবে ঘোরাঘুরির সিজনে বা বিশেষ উৎসবের দিন গুলোতে পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে বলে তখন ভাড়াও বেশি হয়ে থাকে।

কম খরচের হোটেল :
যদি একান্তই বাজেটের মধ্যে হোটেলে থাকতে চান এবং খুব কম খরচে থাকতে চান তাহলে মারকুইস স্ট্রিট ও মির্জা গালিব স্ট্রেটে বেশ কিছু হোটেল আছে তুলনামূলপারবেন। এছাড়া বন্ন গেস্ট হাউজ ও ডর্ম গুলোতে বাজেটের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। এছাড়া খরচ কমাতে শেয়ার করে রুম ভাড়া নিলে থাকার খরচ অনেক কমে যাবে। কম খরচের কিছু হোটেল যেমন মারকুইস স্ট্রিটের হোটেল আফরা, হোটেল প্যারাডাইস গেস্ট হাউজ, গুলশান লজ এবং মির্জা গালিব রোডের হোটেল পুষ্পক, সেন্ট্রাল গেস্ট হাউজ, হোটেল গ্রিন স্টার ইত্যাদি। তবে হোটেল বুকিং করার আগে নিজে যাচাই করে নিবেন।

৮ দিনের ছোট একটা সফরে অনেক অভিজ্ঞতা, আর সিমাহীন আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। আমি ব্যক্তিগত ভাবে হরেকৃষ্ণ বন্ধুর পরিবার এবং তার কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে সময় এবং সহযোগীতা করার জন্য।

লেখক :-
কাতার প্রবাসী

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com